অগ্নিশিখা অনলাইন
- ৩১ জুলাই, ২০২৪ / ৮৫ জন দেখেছে
সালাম হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:-
সারাদেশে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানে ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে এ মৎস্য সপ্তাহ উৎযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী। তবে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের কথা থাকলেও সরকারি পুকুরে করা হয়েছে মাছের পোনা অবমুক্তকরন। এ ঘটনায় জেলা শহরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।জানা যায়, মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালী শেষে সদর উপজেলা পরিষদের পুকুরে বিভিন্ন সাইজের ৬০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করেন অতিথিরা।সচেতন মহল বলছেন, পাছের পোনা অবমুক্ত করতে হবে উন্মুক্ত কোন জলাশয়ে। সেটা না করে সদর উপজেলার পুকুরে মাছ ছাড়া হলো। এর সুবিধা পাবে সরকারি কর্মকর্তারা। যা মোটেও কাম্য নয়।ঝিনাইদহ কৃষি ও মৎস্য খামারের স্বত্তাধীকারী মিজানুর রহমান বলেন, অবমুক্তকরণ বলতে বোঝায় উন্মুক্ত জলাশয়ে। এর আগে আমরা দেখেছি নবগঙ্গা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করতে। কিন্তু এবার করা হলে উপজেলা পুকুরে। এই মাছ উপজেলা প্রশাসন ছাড়া কেউ ধরতে পারবে না। মাছের পোনা নদীতে ছাড়লে নদী পাড়ের বাসিন্দা, জেলে পরিবার সেই মাছগুলো ধরতে পারত। কিন্তু সদর উপজেলার পুকুরে ছাড়া মানে তা সরকারি কর্মকর্তাদের পেটে যাওয়া।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মৎস্যজীবি বলেন, আমাদের জন্য মাছ না ছেড়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি পুকুরে মাছ ছেড়েছে। যা সম্পুর্ন অনিয়ম।এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উদাপন কমিটির সদস্য সচিব ফরহাদুর রেজা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করার নিয়ম আছে। আগে নদীতে পোনা অবমুক্ত করা হতো এবার কেন হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওটাও করা হবে। বরাদ্ধ পেলে নদীতেও অবমুক্ত করা হবে।